২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিলামটি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা ক্রিকেট বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত। এবার সৌদি আরবের মাটিতে নিলাম আয়োজনের মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
এই প্রথম আইপিএল নিলাম সৌদি আরবের কোনো শহরে হবে। সৌদি আরবের ক্রীড়া খাতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং বিনিয়োগের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরব সরকার ইতোমধ্যে ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজনে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে, এবং এই উদ্যোগটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২৪ ও ২৫ নভেম্বর নিলামের দিন এবং সময় নির্ধারিত করছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে যে নিলামে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের তালিকায় ১৫৭৪ জন খেলোয়ার নিলামের জন্য নিবন্ধন করেছেন।। এই চূড়ান্ত তালিকায় বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন ১২ জন ক্রিকেটার। যদিও নাম জমা দিয়েছিলেন ১৩ জন বাংলাদেশি। সেখান থেকে একজন চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য মুস্তাফিজুর রহমানের, যিনি আইপিএলের সর্বশেষ আসরে একাধিকবার হয়েছিলেন পার্পল ক্যাপের মালিক। ১ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদের। তাছাড়া ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্যের ক্যাটাগরিতে আছেন রিশাদ হোসেন, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। এই নিলামের মাধ্যমে আইপিএলে নতুন তারকাদের যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু পুরনো এবং জনপ্রিয় খেলোয়াড়ও দলের অংশ হতে পারেন।
এই আয়োজনটি সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে আরও উপস্থিতি নিশ্চিত করবে এবং বিশ্ব ক্রিকেটের প্রতি সৌদি আরবের আগ্রহ এবং সমর্থন প্রদর্শন করবে।
সাধারণত প্রতি তিন বা চার বছর পরপর আইপিএলের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এবার অবশ্য দুই বছর পরই হচ্ছে সেটি। বড় পরিসরের আগের চারটি (২০১১, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২) নিলাম ভারতেই হয়েছিল। তবে প্রথমবার সৌদিতে হতে চলায় বিসিসিআইয়ের খরচ অনেক বাড়বে।
সৌদি সরকার বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করার কথা অনেক আগেই জানিয়ে রেখেছিল
সৌদি সরকার বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করার কথা অনেক আগেই জানিয়ে রেখেছিলবিসিসিআই
তবে সৌদিতে আইপিএল নিলাম আয়োজন করার সবচেয়ে বড় কারণ ক্রিকেটের পেছনে দেশটির বড় অঙ্কের বিনিয়োগের পরিকল্পনা। বিসিসিআইয়েরও ইচ্ছা ছিল মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কর্মকাণ্ড আরও প্রসারিত করা এবং ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়া। তাই জেদ্দায় আইপিএলের মেগা নিলামে বিসিসিআইকে বাড়তি খরচ করতে হলেও ভবিষ্যতের জন্য তা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ