সংসদীয় আসন ৩০০ থেকে ৪০০ টি উন্নতি করে যার মধ্যে ১০০ টি নারী আসন রাখার সুপারিশ করতে চায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যন্ড ডেমোক্রসি’র (আরএফইডি) সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে সংস্কার কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এমন পরিকল্পনার কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় আসন ৪০০ করা। ১০০ আসন হবে নারীদের জন্য। কেননা, সংসদীয় ভোটারের ভারসাম্য থাকে না। সকল প্রার্থীকে এক মঞ্চে এনে প্রচারের বিষয়টা আইনের মধ্যে আনা।
বদিউল আলম বলেন, টাকা দিয়ে কর্মকর্তা কেনে, ভোট কেনে, এটা কিভাবে বন্ধ করা যায়৷ কারণ এটা আর জনকল্যাণ নেই,এটা একটা ব্যবসা। এটা কিভাবে বন্ধ করা যায়।
সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টা যতি ধরি। ওখানে সরাসরি নির্বাচন হবে। তাহলে সংসদে চারশ আসন হবে৷ এখন সারাদেশে ওই চারশ আসনের ১০০ টা আসনে কেবল নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে, এক দলের সঙ্গে অন্য দল। অন্য তিনশ আসনে নারাী পুরুষ সকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এভাবে চারটা নির্বাচনে একশ একশ করে পরবর্তীতে সকল আসনে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা এই পর্যন্ত ২১টি সভা করেছি। এ সভাগুলোতে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি৷ প্রত্যেকটি আইন-কানুন, বিধি-বিধান আলোচনা পর্যালেচনা করেছি। যার ভিত্তিতে সুপারিশ করতে পারবো৷ সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা’র সঙ্গে আলোচনা করেছি। ই-মেইল পেয়েছি তিন শতাধিক, ফেসবুকে ৭০ টি, ব্যক্তিগতভাবে হার্ডকপি পেয়েছি৷ মানুষের সাড়ায় উৎসাহিত হচ্ছি৷ যাদের সুস্পষ্ট আছে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো। সবার মতামত নিয়ে আমরা সুচিন্তিত একটা সুপারিশ করবো৷ যার ভিত্তিতে সরকার দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন,নিজের পরিবর্তন করতে হবে, রাজনৈতিক পরিবর্তন হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট কেমন হবে, ভোটার তালিকা নারী ভোটার কমার কারণ, নির্বাচনি অপরাধ রোধ, সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে অভিযোগ দুরীকরণ, নির্বাচনী ব্যয় ও পর্যবেক্ষণ, গণমাধ্যমের অবাধ তথ্য সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি, স্থানীয় নির্বাচন কী করে সুষ্ঠু করা হয়, গত তিন নির্বাচন কী ঘটেছিল এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়, মাঠ প্রশাসনে ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে মতামত নেওয়া হবে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ