ছোট পর্দার এখনকার সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খান। বিগত তিন বছর ধরে দর্শকদের সামনে এসেছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য নাটক। অল্প সময়ের মধ্যে অভিনয়ের জন্য বেশ প্রশংসিতও এই অভিনেতা। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের সূচনা লগ্ন, অভিনয় জীবনের নানান অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি।
আরশ খান ২০২১ শোবিজে পা রাখলেও তার অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় ২০০৫ সালে থিয়েটার দিয়ে। মায়ের সুবাদেই থিয়েটারে এসেছিলেন তিনি। বলে রাখা ভালো, আরশ খান হলেন একসময়ের অভিনেত্রী নীলা ইসলামের ছেলে।
আরশ খান বলেন, ‘আমি থিয়েটার করছি ২০০৫ থেকে। মায়ের সুবাদেই। একদম ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার করি, শো করি। ২০১৬ এর আগ পর্যন্ত টিভিসি, ওয়েব ফিল্ম এগুলাতে ছিলাম। কিন্তু শুরু হলো, একদমই থামেনি এরকম জার্নি শুরু করেছি ২০২১ এর নভেম্বর থেকে।’
মায়ের সঙ্গে একসেটে অভিনয় করেছেন আরশ খান। সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা জানতে চাওয়া হয় আরশের কাছে। আরশ বলেন, ’ভালোই লাগে। যেমন গতকাল একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমরা অভিনয় করতে পারছিলাম না একসঙ্গে, হেসে দিচ্ছিলাম বারবার, মা ও হেসে দিচ্ছিল।’
কারণ জানিয়ে আরশ বললেন, ‘মা এন্টাগোনিস্ট (বিরোধী) রোল প্লে করছিল। মা কে আসলে ওভাবে দেখিনি তো কখনও, নিতে কষ্ট হচ্ছিল’ হাসতে হাসতে বললেন আরশ। এরপর অভিনেতা বলেন, ‘পরে পরিচালক আমাকে ধরে রুমে রেখে এসে মায়ের জন্য আলাদা করে শ্যুট নিয়ে নিল।’
মা অভিনেত্রী নীলা ইসলাম, আরশ খানের কাজের সমালোচনা কতটা করেন- এমন প্রশ্নে আরশ বলেন, ‘মা তো হাজার ভুল করলেও সেটা চোখে পড়বে না। তার মনে হবে, তার ছেলেই সবার চেয়ে সেরা। তো মা যেই নাটকই দেখে, ইমোশনাল হলে কাঁদে। যদি একটু ফানি গল্প হয়, তাহলে খুবই হাসে। ভয়ংকর রকমের অ্যাপ্রিশিয়েট করে, সাপোর্ট করে। মা যখন কিছু বলে, আই ফিল সো গুড- অন্তত মা খুশি।’
বড় পর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গেও কথা বলেন আরশ। অভিনেতার কথায়, ‘আমার একদম ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল সিনেমা করব। নাটকের কথা আগে কখনও ভাবিনি। ২০১৬ তে একটা টিভিসি করি। এরপর বড় একটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমার জন্য ডাক পাই। কিন্তু ওটার জন্য ৬ মাস কোনো টিভিসিতে কাজ করতে পারব না। ৬ মাস বসেই ছিলাম, কিছুই হয়নি। এরপর ২০১৭-২০১৮ এর দিকে আমার মনে হল ফিল্মটা আসলে এখনই না।’
উল্লেখ্য, কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে ৭০-৮০ টি নাটকে অভিনয় করেছেন আরশ খান। বেশকিছু নাটক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, জটিল প্রেম, লাভ টর্চার, রাখাল বালিকা, হেডফোন।
রার/সা.এ