বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যারা ক্ষমতা থেকে যারা সরাতে চায়, সেই রাজাকার, জামায়াত, জেএমবির সদস্যরা ভারতে ঢুকছে। আর তাদের ঢোকাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সোমবার (২৯ মে) রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জনসভায় এমন অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন একাধিক ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনায় সরব হন শুভেন্দু। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি তিনি জাতীয় কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টকেও একহাত নেন।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশকে পানি দিলে আমার আপত্তি নেই: মমতা
বিজেপি নেতার কথায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের বিরোধী দলনেতা ছিলেন বামফ্রন্টের সূর্যকান্ত মিশ্র। তাদের লড়াইয়ের ময়দানে দেখা যায়নি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা ছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। তাদেরও লড়াইয়ের ময়দানে দেখা যায়নি। তাহলে আমরা বলতে পারি, সিপিএম ও কংগ্রেস মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে গোপন চুক্তির রাজনীতি করছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে দুই কোটি বেকার, ছয় লাখ কোটি রুপি ঋণের বোঝা, ৪৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক, বাঁচাবে কে? কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া পারবে? অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আনতে গেলে আত্মকেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গ গড়তে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ছাড়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন>> হঠাৎ বাংলাদেশিদের নিয়ে স্মৃতিকাতর মমতা
একপর্যায়ে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে যারা সরাতে চায় তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বেড়া হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। ২০১৪ সালের পরে সীমান্তের বেড়া ডিঙিয়ে জামায়াত, জেএমবির লোকরা ভারতে ঢুকছে। মমতা ব্যানার্জী তাদের ঢোকাচ্ছেন।
আরও পড়ুন>> ফারাক্কার পানিচুক্তি: ফের কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে ‘দোষ’ চাপালেন মমতা
এ বিজেপি নেতা আরও বলেন, অমিত শাহ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গরুপাচার যেমন বন্ধ হয়েছে, তেমনি সীমান্তে পারাপারও অনেক কমে গেছে। কিন্তু গোসাবায় ১৪টি দ্বীপ, একটি দ্বীপে বিএসএফ রয়েছে। জলপথ দিয়ে ঢুকছে। আর বারুইপুর–কামালগাজির রাস্তা দিয়ে ও বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ঢুকছে। যারা বাংলাদেশে মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যারা রাজাকারের পার্টি, যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, সেই জামায়াত, রাজাকারের লোকেরা ভারতে ঢুকছে। আর মমতা ব্যানার্জী এদের ঢোকাচ্ছেন।
ডিডি/কেএএ/